২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৫ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বৃহস্পতিবার তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ নেবেন তিনি।
৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার অবসরে যান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে বৃহস্পতিবার শেষ অফিস করেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নতুন প্রধান বিচারপতির নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন। এই আদেশ শপথ গ্রহণের দিন থেকে কার্যকর হবে।
এদিকে, নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর ছুটিতে গেছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। তবে তিনি কতদিনের ছুটিতে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তার অবসরে যাওয়ার কথা।
ফলো করুন-
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। ১৯৭২ সালে খোকসা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এরপর ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরা আচার্য্য প্রফুল্ল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ১৯৭৬ সালে স্নাতক পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৭৮ সালে এমএ পাস করেন। এরপর তিনি ধানমন্ডি ল কলেজ থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৮১ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে একজন আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ১৯৯৯ সালের ২৭ মে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান।
বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল তাকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত বছরের ৩ মে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে পুনর্নিয়োগ পান তিনি।